বনলতা সেন কবিতার মূলবক্তব্য ও অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
বনলতা সেন কবিতার মূলবক্তব্য ও অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
বিদিশার নিশার মতো কালো চুল, শ্রাবস্তীর কারুকার্যময় মুখ, পাখির নীড়ের মতো দুটি চোখ এমন উপমায় কবি যে নারীকে উপমিত করেছেন সেই রূপময়ী বনলতা সেনের উপস্থিতির পর কবি যখন তার মুখ থেকে শুনলেন মমতাজড়ানো বাণী ‘এতদিন কোথায় ছিলেন’ তখন কবির বেদনাক্লিষ্ট, ক্লান্ত, পরিশ্রান্ত জীবনে নেমে এল এক পরম প্রশিান্তি- যে প্রশান্তি প্রতিটি পুরুষের কাম্য।
প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ, নিভৃত বাংলা ব্লগে তোমাদের স্বাগত। এখানে ধারাবাহিকভাবে ডিগ্রি ২য় বর্ষের বাংলা কবিতা থেকে আলোচনা করছি। এর আগের পর্বগুলোতে আত্ম-বিলাপ, ঐকতান এবং চৈতী হাওয়া কবিতা থেকে আলোচনা করেছি।
আজ আলোচনা করবো ত্রিশোত্তর
বাংলা সাহিত্যের অন্যতম প্রধান কবি জীবনানন্দ দাশের সবচেয়ে জনপ্রিয় এবং আলোচিত কবিতা
বনলতা সেন নিয়ে। আজকের পর্বে বনলতা সেন কবিতার মূল বক্তব্য এবং অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর
আলোচনা করবো। তবে এই আলোচনা পড়ার আগে বনলতা সেন কবিতারলাইন বাই লাইন ব্যাখ্যা দেখে নাও।
বনলতা সেন কবিতার মূল বক্তব্য/ বনলতা সেন কবিতার মূলভাব/ বনলতা সেন কবিতার মূলসুর/ বনলতা সেন কবিতার ব্যাখ্যা:
পৃথিবীর সচনালগ্ন থেকেই পুরুষ সর্বদা যাকে কামনা করেছে সে হলো একজন নারী। নারীর অনুপস্থিতি যে কোনো পুরুষের হৃদয়ে যেমন অশান্তির বার্তা বয়ে আনে কবি জীবনানন্দ দাশের হৃদয়েও তেমনি অশান্তির বার্তা বয়ে এনেছ। নারীর ভালোবাসায় কিংবা নারীকে কাছে পাওয়ার জন্য যেকোনো পুরুষ পৃথিবীর কঠিনতম কাজও করে ফেলতে পারে। তেমনি বনলতা সেন কবিতায় দেখা যায় কবি জীবনানন্দ দাশ হাজার বছরের পৃথিবীর পথ অতিক্রম করেছেন, সিংহল সমূদ্র থেকে নিশীথের অন্ধকারে মালয় সাগর পর্যন্ত ঘুরেছেন। শুধু তাই নয়, কবি বিম্বিসার অশোকের ধূসর জগতেও গিয়েছেন এবং আরও দূরবর্তী অন্ধকার বিদর্ভ নগর সমস্তকিছু পরিভ্রমণ করেছেন শুধু দুদণ্ড শান্তির প্রত্যাশায়। এক সময় দীর্ঘ পথ পরিক্রমায়, ঘুরতে ঘুরতে ক্লান্ত, অবসন্ন, ফেনাময় হয়ে পড়ে কবির জীবন। শান্তির সন্ধানে কবির এত দিনের পরিশ্রম, এত ত্যাগ বৃথা যায়নি। কবির এই বিষাদময় ও ক্লান্তিকর জীবনে শান্তির প্রতীক হিসেবে তিনি খুঁজে পেয়েছেন এক নারীকে। কবির হৃদয় শীতলকারী, মন হরণকারী, শান্তিদায়িনী সেই নারী বনলতা সেন। বিদিশার নিশার মতো কালো চুল, শ্রাবস্তীর কারুকার্যময় মুখ, পাখির নীড়ের মতো দুটি চোখ এমন উপমায় কবি যে নারীকে উপমিত করেছেন সেই রূপময়ী বনলতা সেনের উপস্থিতির পর কবি যখন তার মুখ থেকে শুনলেন মমতাজড়ানো বাণী ‘এতদিন কোথায় ছিলেন’ তখন কবির বেদনাক্লিষ্ট, ক্লান্ত, পরিশ্রান্ত জীবনে নেমে এল এক পরম প্রশিান্তি- যে প্রশান্তি প্রতিটি পুরুষের কাম্য।
কবি জীবনানন্দ দাশ বনলতা সেন কবিতায় মূলত তাঁর আত্মচেতনাকে এক গভীর ভাবের আলোকে উদ্ভাসিত করেছেন। তিনি নিজেকে দাঁড় করিয়েছেন মানবপ্রতিনিধি হিসেবে, যিনি জন্মজন্মান্তর ধরে এতটুকু শান্তির আশায় পথ হাঁটছেন। কিন্তু কেউ তাকে শান্তি দিতে পারেনি। কবি এই হাজার বছরেরর পথ পরিক্রমায় সুদূর অতীত যেমন প্রত্যক্ষ করেছেন তেমনি আধুনিক যুগের বা বর্তমান পৃথিবীর অস্থিরতাকে এবং ঝড়ক্ষুব্ধ অবস্থাকেও দেখেছেন। কবি এত কিছু প্রত্যক্ষ করে বুঝেছেন কোথাও এতটুকু শান্তি নেই। শান্তি কেবল নারীর অকপট প্রেমে, নারীর কোমল পরশে, নারীর মমতাময়ী আশ্রয়ে। মূলত কবির এই অনুভবই মূর্ত হয়ে উঠেছে বনলতা সেন কবিতায়।
প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ, এ পর্যায়ে বনলতা সেন সম্পর্কে একটি
ছোট্ট প্রবন্ধ পেশ করার প্রয়োজন মনে করছি। তবে প্রবন্ধটি যারা বনলতা সেন গবেষক আছেন
তাদের প্রয়োজন হতে পারে। ডিগ্রি ২য় বর্ষের শিক্ষার্থী হিসেবে যারা পড়ছো তারা চাইলে
প্রবন্ধটি স্কিপ করতে পারো। যাই হোক প্রবন্ধটি দেখে নেয়া যাক।
বনলতা সেন: নিষিদ্ধ প্রেম ও বঞ্চিত নারীর মর্মন্তুদ আখ্যান
👉 'পাখির নীড়ের মত চোখ' আর 'বিদিশার
নিশার মত' কালো চুল নিয়ে 'বনলতা সেন' কবিতার এই শুদ্ধতম নায়িকা রোমান্টিক বাঙালিদের
মনোজগতে দেদীপ্যমান। জীবনানন্দ দাশ প্রেম, ঐতিহাসিকভাবে আগত সামাজিক সংকট ও প্রচলিত
অর্থনীতিতে বঞ্চিত নারীর করুন প্রতিচ্ছবি চিত্রিত করেছেন সার্থক শিল্পীর মূল্যবোধের
তুলিতে।
👉কবিতায় আমরা বনলতার অলোকসাধারণ রূপের
বর্ণনা পাই, কিন্তু তার সামাজিক পরিচয় সম্পর্কে কিছুই জানিনা। সাহিত্য পিপাসুদের মনে
সঙ্গতই প্রশ্ন জাগে, কে এই বনলতা সেন?
👉সাহিত্যের ইতিহাসে এই ধরনের সমস্যা
অবশ্য নতুন নয়। একই প্রশ্ন উঠেছে শেক্সপিয়রের সনেটের 'কৃষ্ণ রমনী'কে নিয়ে এবং লিওনার্দো
দা ভিঞ্চির 'মোনালিসা'কে নিয়ে।
👉এই প্রশ্ন সমাধানের কিছুটা ইঙ্গিত
পাওয়া যায় বিশিষ্ট জীবনানন্দ গবেষক অধ্যাপক আব্দুল মান্নান সৈয়দের লেখনিতে। তিনি লিখেছেন,
"বরিশালে প্রথম যৌবনে হয়তো কোনো নারীর প্রতি মুগ্ধ হয়েছিলেন জীবনানন্দ যার নাম
ছিল 'বনলতা' (এটাই গোপন স্বভাবী কবির পক্ষে বেশি সম্ভব) অথবা কবি তার নামকরণ করেছিলেন
'বনলতা'। 'সেন' উপাধি দিয়ে 'নাটোর' নামক তদানীন্তন রাজশাহী জেলার একটি অঞ্চলের অধিবাসী
করে তাকে বিশেষ ও সুনির্দিষ্ট করেছিলেন।"
👉 তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা আকবর
আলী খান লিখেছেন, "সরকারি চাকরিসূত্রে রাজশাহীতে অবস্থানকালে প্রশাসকদের বিভিন্ন
প্রতিবেদন ও দলিল দস্তাবেজ হতে দেখা যায় যে বিংশ শতাব্দীর প্রথমদিকে নাটোর শুধু কাঁচাগোল্লা
ও জমিদারের জন্যই বিখ্যাত ছিলনা, নাটোর ছিল উত্তরবঙ্গের রূপাজীবাদের (পতিতাদের) সবচেয়ে
বড় কেন্দ্র।"
👉উল্লেখিত কারণে আমাদের মনে হয় নাটোর
বনলতা সেনের শুধুই ঠিকানা নয়, নাটোর শব্দটির দ্বারা তার পেশা সম্বন্ধে ইঙ্গিত দেওয়া
হয়েছে। এই প্রেক্ষিতে দেখলে বনলতা সেন নামটির তাৎপর্য সহজে বোঝা যায়। 'সেন' পদবী ইঙ্গিত
দিচ্ছে যে সে ভদ্র বংশোদ্ভূত। বনলতা বাংলাদেশে ব্যবহৃত কোনো সাধারণ নাম নয়। তার স্খলনের
জন্য বা তার নিজের পরিচয় লুকানোর জন্য সে হয়তো ছদ্মনাম নিয়েছে।
👉বনলতার এই পরিচয় কবিতাটিকে একটি সম্পূর্ণ
নতুন দ্যোতনা দেয়। এখন আমরা বুঝতে পারি বনলতা সেন কেন কবিকে 'দু দণ্ড শান্তি' দিয়েছিল।
বুঝতে পারি কেন কবির অভিসার 'নিশীথের অন্ধকারে' এবং 'দূর অন্ধকারে'।
👉এই পটভূমিতে 'এতদিন কোথায় ছিলেন?'
এটি একটি সাধারণ প্রশ্ন নয়, বনলতা সেন যেন বলতে চাচ্ছে যে সে ইচ্ছা করে রূপাজীবার বৃত্তি
গ্রহণ করেনি, তার জীবনে অনেক ঝড় ঝঞ্ঝা গেছে। সেই দুঃসময়ে তার পাশে কেউ ছিলনা। 'এতদিন
কোথায় ছিলেন?' - একটি সৌজন্যমূলক প্রশ্ন নয়, এ হচ্ছে বিপর্যস্ত নারীর আর্তনাদ। বনলতার
পরিচয় পেলেই আমরা বুঝতে পারি কবি কেন কবিতার শেষে বলেছেন 'সব পাখি ঘরে ফেরে'।
👉বনলতাদের সাথে দুদণ্ড সময় কাটালেও
শেষ পর্যন্ত বিবাহিত পুরুষদের লাবণ্যপ্রভাদের (স্ত্রীদের) নিকট ফিরে আসতে হয় কিংবা
ভদ্র সমাজের যুবাদের ঘরে ফিরে আসতে হয়।
👉বনলতাকে আলোকোজ্জ্বল পৃথিবীতে প্রকাশ্যে
পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। বনলতার কথা কাউকে বলারও উপায় নেই। বনলতাকে নিরবে নিভৃতে স্মরণ
করতে হয় অপরাধবোধ নিয়ে। তাই কবি বলেছেন, 'থাকে শুধু অন্ধকার মুখোমুখি বসিবার বনলতা
সেন।' এই অন্ধকার প্রাকৃতিক নয়, এই অন্ধকার মানসিক। এভাবেই নিষিদ্ধ প্রেমের আনন্দ বেদনা
ও বঞ্চিত নারীর প্রতিচ্ছবি কবি 'বনলতা সেন' কবিতায় সার্থকভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন।
বনলতা সেন কবিতার অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর:
প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ,
বনলতা সেন কবিতাটি দৈহিক অবয়বে ছোট হলেও ভাবের কলেবরে বৃহৎ। তাই এটিকে উপেক্ষা করার
কোনো উপায় নেই। বরং আরও বেশি গুরুত্বসহকারে এই কবিতাটি অধ্যয়ন করা উচিত। এবার দেখে
নেবো বনলতা সেন কবিতা থেকে পরীক্ষায় কমন উপযোগী অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তরগুলি।
১। বনলতা সেন কবিতায় কবি কত বছর ধরে পথ হাঁটছেন?
[জা.বি ২০১৬]
উত্তর: বনলতা সেন কবিতায় কবি হাজার বছর ধরে পথে হাঁটছেন।
২। বনলতা সেন কবিতায় শ্রাবস্তীর পরিচয় কী? [জা.বি
২০১৮]
উত্তর: বনলতা সেন কবিতায় শ্রাবস্তী হলো প্রাচীন ভাতের একটি
সমৃদ্ধশালী নগরী, যার মন্দির ও ভাস্কর্যের কারুকার্যের সাথে বনলতার মুখের সৌন্দর্যের
তুলনা করা হয়েছে।
৩। বিদিশা কী?
উত্তর: বিদিশা হলো বৌদ্ধ যুগের প্রাচীন সমৃদ্ধ নগরী।
৪। ‘জীবনানন্দ দাশ এক বিমূঢ় যুগের বিভ্রান্ত
কবি’ একথা কে বলেছেন?
উত্তর: জীবনানন্দ দাশকে বিমূঢ় যুগের বিভ্রান্ত কবি বলেছেন
দীপ্তি ত্রিপাঠি।
৫। মানুষের কোন চিরন্তন আকাঙ্ক্ষাটি ‘বনলতা সেন’
কবিতায় ফুটে উঠেছে?
উত্তর: মানুষের মানসিক প্রশান্তির আকাঙ্ক্ষাটি বনলতা সেন
কবিতায় ফুটে উঠেছে।
৬। জীবনানন্দ দাশ কী নামে খ্যাত?
উত্তর: রূপসী বাংলার কবি, তিমির হননের কবি, বিমূঢ় যুগের বিভ্রান্ত
কবি।
৭। কবি বনলতাসেনকে প্রথম কোথায় দেখেছিলেন?
উত্তর: কবি বনলতা সেনকে প্রথম দেখেছিলেন অন্ধকারে।
৮। বনলতা সেন কীসের প্রতীক?
উত্তর: বনলতা সেন শাশ্বত নারী সত্তার চিরন্তন শান্তির প্রতীক।
৯। জীবনানন্দ দাশ জন্মগ্রহণ করেন কবে?
উত্তর: জীবনানন্দ দাশ ১৭ ফেব্রুয়ারি, ১৮৯৯ সালে বরিশালে জন্মগ্রহণ
করেন।
১০। বনলতা সেন কবিতায় সবুজ ঘাসের দেশ কোথায়?
উত্তর: বনলতা সেন কবিতায় সবুজ ঘাসের দেশ দারুচিনি দ্বীপের
ভিতর।
১১। বনলতা সেন কবিতাটি কোন ছন্দে রচিত?
উত্তর: বনলতা সেন কবিতাটি অক্ষরবৃত্ত ছন্দে রচিত।
১২। বনলতা সেনের চুল কীসের মতো?
উত্তর: বনলতা সেনের চুল বিদিশার নিশার মতো।
১৩। কবি জীবনানন্দ দাশ মৃতুবরণ করেন কীভাবে?
উত্তর: কবি জীবনানন্দ দাশ মৃতুবরণ করেন ট্রাম দুর্ঘটনায়।
১৪। জীবনানন্দ দাশের কাব্যে কী রূপময় হয়ে উঠেছে?
উত্তর: জীবনানন্দ দাশের কাব্যে গ্রাম বাংলার ঐতিহ্যময় প্রকৃতি
রূপময় হয়ে উঠেছে।
১৫। বনলতা সেন কবিতায় নারীর কোন দিকটি উপজীব্য
হয়েছে?
উত্তর: বনলতা সেন কবিতায় নারীর শান্তিদায়িনী রূপটি উপজীব্য
হয়েছে।
১৬। বনলতা সেন কবিতায় পাণ্ডুলিপি আয়োজন করে কখন?
উত্তর: বনলতা সেন কবিতায় পাণ্ডুলিপি আয়োজন করে পৃথিবীর সব
রঙ নিভে গেলে।
১৭। বনলতা সেন কবিতায় জোনাকির রঙ ঝিলমিল করে
কীসের তরে?
উত্তর: বনলতা সেন কবিতায় জোনাকির রঙ ঝিলমিল করে গল্পের তরে।
১৮। বনলতা সেন কবিতাটির রচয়িতা কে?
উত্তর: বনলতা সেন কবিতাটির রচয়িতা জীবনানন্দ দাশ।
১৯। জীবনানন্দ দাশের কয়েকটি কাব্যগ্রন্থের নাম
লিখ।
উত্তর: ধূসর পাণ্ডুলিপি (১৯৩১), ঝরা পালক (১৯২৭), বনলতা সেন
(১৯৪২), মহাপৃথিবী (১৯৪৪), সাতটি তারার তিমির (১৯৪৮)
২০। বনলতা সেন কবিতার বিখ্যাত উপমা কোনটি?
উত্তর: বনলতা সেন কবিতার বিখ্যাত উপমা ‘পাখির নীড়ের মতো চোখ।’
২১। বনলতা সেন কবিতায় হাল ভেঙে কে দিশা হারায়?
উত্তর: বনলতা সেন কবিতায় হাল ভেঙে দিশা হারায় নাবিক।
২২। বনলতা সেন কবিকে দেখে কোন উক্তি করেছিলেন?
উত্তর: বনলতা সেন কবিকে দেখে বলেছিলেন ‘এত দিন কোথায় ছিলেন?’
২৩। সিংহল সমূদ্র কী?
উত্তর: সিংহল সমূদ্র হলো ভারতের দক্ষিণ পার্শ্বস্থ সমূদ্র।
একসময় লঙ্কা দ্বীপকে সিংহল বলা হতো। বর্তমানে এটি শ্রীলঙ্কা নামে পরিচিত। তাই সিংহল
সমূদ্র বলতে বর্তমানে দক্ষিণ শ্রীলঙ্কায় অবস্থিত সাগরকে বোঝানো যায়।
২৪। শিশিরের শব্দের মতন বলতে কবি কী বুঝিয়েছেন?
উত্তর: শিশিরের শব্দের মতন বলতে কবি বুঝিয়েছেন নিঃশব্দ মসৃণ
অনুভূতি।
২৫। নীড় অর্থ কী?
উত্তর: নীড় অর্থ পাখির বাসা।
২৬। বনলতা সেন কবিতায় পাখির নীড়ের মতো চোখ উপমাটি
কীসের প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে?
উত্তর: বনলতা সেন কবিতায় পাখির নীড়ের মতো চোখ উপমাটি আশ্রয়ের
প্রতীক হিসেবে ব্যবহৃত হয়েছে।
২৭। নাবিক অর্থ কী?
উত্তর: নাবিক অর্থ যিনি নৌযান/ নৌকা/ জাহাজ চালনা করেন।
২৮। দুদণ্ড শব্দের অর্থ কী?
উত্তর: দুদণ্ড শব্দের অর্থ সামান্য মুহূর্ত।
২৯। বনলতা সেন কবিতায় কোন রঙের উল্লেখ আছে?
উত্তর: বনলতা সেন কবিতায় ধূসর রঙের উল্লেখ আছে।
৩০। ডানার রৌদ্রের গন্ধ উপমাটি কী অর্থ বহন করে?
উত্তর: ডানার রৌদ্রের গন্ধ হলো ব্যস্ততা ভরা কর্মজীবনের অবসাদ
বা ঘামের গন্ধ।
৩১। সমূদ্র সফেন বলতে কী বোঝ?
উত্তর: সমূদ্র সফেন বলতে ফেনাময় সমূদ্র বোঝানো হয়েছে।
৩২। বিদর্ভ বলতে ভারতের বর্তমান কোন রাজ্যকে
বোঝানো হয়েছে?
উত্তর: বিদর্ভ হলো ভারতের বর্তমান বিদর রাজ্যের প্রাচীন নাম।
৩৩। বনলতা সেন কবিতায় অশোকের পরিচয় কী?
উত্তর: বনলতা সেন কবিতায় উল্লেখিত অশোক হলেন মৌর্জ বংশের
প্রভাবশালী রাজা।
৩৪। বনলতা সেন কবিতায় উল্লেখিত বিম্বিসার কে?
উত্তর: বনলতা সেন কবিতায় উল্লেখিত বিম্বিসার হলেন প্রাচীন
হর্ষভ রাজবংশের প্রতিষ্ঠাতা।
৩৫। বনলতা সেন কবিতায় কয়টি সাগরের উল্লেখ পাওয়া
যায় এবং সেগুলি কী কী?
উত্তর: বনলতা সেন কবিতায় দুইটি সাগরের উল্লেখ পাওয়া যায়।
সেগুলি হলো সিংহল সাগর এবং মালয় সাগর।
৩৬। বনলতা সেন কবিতায় উল্লেখিত কয়েকটি পৌরাণিক
স্থানের নাম লিখ।
উত্তর: বনলতা সেন কবিতায় উল্লেখিত কয়েকটি পৌরাণিক স্থানের
নাম হলো: সিংহল সমূদ্র, মালয় সাগর, বিদর্ভ নগর, শ্রাবস্তী, বিদিশা, অশোকের ধূসর জগৎ
ইত্যাদি।
৩৭। বনলতা সেন কবিতায় চিল কী করে?
উত্তর: বনলতা সেন কবিতায় চিল ডানার রৌদ্রের গন্ধ মুছে ফেলে।
৩৮। বনলতা সেন কবিতায় সন্ধ্যা আসে কখন?
উত্তর: বনলতা সেন কবিতায় সন্ধ্যা আসে সমস্ত দিনের শেষে।
৩৯। বনলতা সেন কবিতায় সন্ধ্যা আসে কীভাবে?
উত্তর: বনলতা সেন কবিতায় সন্ধ্যা আসে শিশিরের শব্দের মতো।
৪০। বনলতা সেন কবিতায় বনলতার আবাস কোথায় বলে
উল্লেখ করা হয়েছে?
উত্তর: বনলতা সেন কবিতায় বনলতার আবাস নাটোরে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ, আজকের ব্লগ এই পর্যন্তই। যদি পোস্টটি ভালো লেগে থাকে তাহলে নিচের শেয়ার অপশন থেকে তোমার প্রোফাইলে শেয়ার করে রাখো। সবাই ভালো থাকো, সুস্থ থাকো এই প্রত্যাশায় আল্লাহ হাফেজ।