পুঁইমাচা গল্পের বিষয়বস্তু ও পুঁইমাচা গল্পের ছোট প্রশ্ন ও উত্তর

বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় ‘পুঁইমাচা’ গল্পে যে সমাজের কথা বলেছেন সে সমাজে বিষফোড়ার মতো স্থান করে নিয়েছে বাল্যবিবাহ আর যৌতুক প্রথা। গল্পে তিনি জীবনের জটিল মনস্তত্ত্বের কোনো ব্যাখ্যা দাঁড় করাননি, বরং দীনহীন একটি পরিবারের স্বাভাবিক করুণ কাহিনী সহজসরল ভাষায় বর্ণনার মধ্য দিয়ে তৎকালীন সমাজের একটি চিত্র এঁকেছেন। 

পুঁইমাচা গল্পের বিষয়বস্তু ও পুঁইমাচা গল্পের ছোট প্রশ্ন ও উত্তর

বিসমিল্লাহির রাহমানির রাহিম। প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ, নিভৃত বাংলা ব্লগে তোমাদের সবাইকে স্বাগত জানাচ্ছি। বিগত পোস্টগুলোতে ডিগ্রি ২য় বর্ষের বাংলা জাতীয় ভাষা গ্রন্থের অন্তর্গত নির্বাচিত কবিতা অংশের প্রত্যেকটি কবিতার মূলভাব এবং অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর ধারাবাহিকভাবে আলোচনা করেছি। আজ আলোচনা করবো নির্বাচিত গল্পের দ্বিতীয় গল্প ‘পুঁইমাচা’ সম্পর্কে। আজকের পর্বে পুঁইমাচা গল্পের মূলভাব এবং এ গল্প থেকে পরীক্ষায় কমন উপযোগী কিছু অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর আলোচনা করছি।

 

আরও পড়ো: আত্ম-বিলাপ কবিতার মূলবক্তব্য এবং অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর

ঐকতান কবিতার মূলবক্তব্য এবং অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর

চৈতী হাওয়া কবিতার মূলবক্তব্য এবং অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর

বনলতা সেন কবিতার মূলবক্তব্য এবং অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর

ডাহুক কবিতার মূলবক্তব্য এবং অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর

বার বার ফিরে আসে কবিতার মূলবক্তব্য ও অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর

সোনালী কাবিনঃ ৫ কবিতার মূলবক্তব্য ও অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর

 

আর হ্যাঁ, এই পোস্টটি পড়ার আগে অবশ্যই পুঁইমাচা গল্প বিশ্লেষণ এর ভিডিওটি দেখে নিবে। তাহলে সহজেই পুঁইমাচা গল্পের মূলভাব বুঝতে পারবে।

 

তো চলো কথা না বাড়িয়ে আগে জেনে নিই পুঁইমাচা গল্পের বিষয়বস্তু।

 

পুঁইমাচা গল্পের মর্মকথা / পুঁইমাচা গল্পের সারমর্ম / পুঁইমাচা গল্পের ভাবার্থ / পুঁইমাচা গল্পের সার সংক্ষেপ / পুঁইমাচা গল্পের মূলকথা / পুঁইমাচা গল্পের মূল বক্তব্য / পুঁইমাচা গল্পের ব্যাখ্যা / পুঁইমাচা গল্পের মূলভাব / পুঁইমাচা গল্পের বিষয়বস্তু:

 

সংসার, যাপিত জীবন, সমাজের রীতিনীতি সম্পর্কে সম্পূর্ণ উদাসীন সহায়হরির সাথে বাস্তববাদী, নীতি নৈতিকতায় বলিষ্ঠ, কঠোর অথচ মমতাময়ী একজন নারীর চরিত্র অঙ্কনের মধ্য দিয়ে বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় ‘পুঁইমাচা’ গল্পে যে সমাজের কথা বলেছেন সে সমাজে বিষফোড়ার মতো স্থান করে নিয়েছে বাল্যবিবাহ আর যৌতুক প্রথা। গল্পে তিনি জীবনের জটিল মনস্তত্ত্বের কোনো ব্যাখ্যা দাঁড় করাননি, বরং দীনহীন একটি পরিবারের স্বাভাবিক করুণ কাহিনী সহজসরল ভাষায় বর্ণনার মধ্য দিয়ে তৎকালীন সমাজের একটি চিত্র এঁকেছেন। স্ত্রী এবং চার মেয়েকে নিয়ে সহায়হরির অভাব অনটনের সংসার। বড় মেয়ের বয়স চৌদ্দ-পনেরো। এ বয়সেও বিয়ে না হওয়ায় তার স্ত্রীর দুশ্চিন্তার শেষ নেই। মেয়ের বিয়ে না হওয়ায় তাকে যে একঘরে করার কথা হচ্ছে সে উদ্বেগের কথা সে তার স্বামীকে জানায় কিন্তু সহায়হরির সেদিকে কোনো ভ্রূক্ষেপ নেই। সংসারের প্রতি তার এ উদাসীনতার রাগ গিয়ে পড়ে মেয়েদের ওপর।

এক বিকেলে বড় মেয়ে ক্ষেন্তি কিছু পুঁইশাক আর চিংড়ি মাছ চেয়ে চিনতে নিয়ে আসে। বড় মেয়ে ক্ষেন্তির পছন্দ কুচো চিংড়ি দিয়ে পুঁইশাক। কিন্তু মায়ের রাগের তোড়ে তা ফেলে দিয়ে আসতে হয়। পরে বাড়িতে যখন কেউ না থাকে তখন তার মা ফেলে দেওয়া পুঁইশাক কুড়িয়ে নিয়ে এসে রাঁধে। দুপুরে খেতে বসে পুঁইশাক পাতে দেখে ক্ষেন্তির চোখ ছলছল করে ওঠে। পুঁইশাক ক্ষেন্তির এত পছন্দ যে, সে ঘরের কোনেও পুঁইশাক লাগিয়ে রাখে। মাচাভর্তি সে পুঁইশাক লকলক করে বাড়তে থাকে। বৈশাখ মাসের প্রথমে সহায়হরির এক দূরসম্পর্কের আত্মীয়ের ঘটকালিতে ক্ষেন্তির বিবাহ হয়ে যায়। দ্বিতীয় পক্ষে বিবাহ করলেও পাত্রটির বয়স চল্লিশের খুব বেশি কোনোমতেই হবে না। দীনহীন সহায়হরি যৌতুকের টাকা ধীরে ধীরে শোধ করছিলো। কিন্তু টাকা না পেয়ে ক্ষেন্তির ওপর অত্যাচার বাড়তে থাকে। এর মাঝে মেয়ের বসন্ত হলে গা থেকে সোনা গয়না খুলে তাকে ফেলে রেখে যায় পাশেই অপরিচিত এক আত্মীয়ের বাড়িতে। সে বাড়িতেই মৃত্যু হয় ক্ষেন্তির।

কিন্তু ক্ষেন্তির লাগানো সে পুঁই গাছটি মরেনি। ক্ষেন্তির সমগ্র জীবনের সাক্ষী হয়ে, তার সমস্ত সাধ আহ্লাদের কেন্দ্রবিন্দু হয়ে, তার না থাকার শূন্যতাকে বুকে ধারণ করে, তার শত সহস্র স্মৃতির উৎস হয়ে মাচা ভর্তি সে পুঁইশাক লকলক করে বাড়তে থাকে। পুঁই মাচার লাবণ্যে ভরপুর কচি সবুজ ডগাগুলোর মাঝে মা এবং বোনেরা যেন ক্ষেন্তির অবয়ব খুঁজে পায়। পৌষসংক্রান্তির রাতে এর দিকে তাকিয়ে এমন ডাগর ডাগর মেয়েটির অকাল প্রয়াণের কথা স্মরণ করে মা এবং মেয়েরা নির্বাক বসে থাকে।

 

আরও দেখো: চৈতী হাওয়া কবিতার লাইন বাই লাইনব্যাখ্যা (ভিডিও)

আত্মবিলাপ কবিতার লাইন বাই লাইন ব্যাখ্যা (ভিডিও)

ঐকতান কবিতার লাইন বাই লাইন ব্যাখ্যা (ভিডিও)

বনলতা সেন কবিতার লাইন বাই লাইন ব্যাখ্যা (ভিডিও)

ডাহুক কবিতার লাইন বাই লাইন ব্যাখ্যা (ভিডিও)

বার বার ফিরে আসে কবিতার লাইন বাই লাইন ব্যাখ্যা (ভিডিও)

সোনালী কাবিনঃ ৫ কবিতার লাইন বাই লাইন ব্যাখ্যা (ভিডিও)

 

পুঁইমাচা গল্পের অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর:

প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ, এবার পুঁইমাচা গল্প থেকে পরীক্ষায় কমন উপযোগী কয়েকটি অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর তুলে ধরছি। মূল বক্তব্য আলোচনা থেকে আশাকরি সহজভাবে বুঝতে পেরেছো। এবার অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নগুলি দেখে আয়ত্ত করে নাও।

 

১। পুঁইমাচা ছোটগল্পে ক্ষেন্তির মায়ের নাম কী? [জা.বি-২০১৮]

উত্তর: পুঁইমাচা ছোটগল্পে ক্ষেন্তির মায়ের নাম অন্নপূর্ণা।

 

২। ক্ষেন্তি কোন রোগে মৃত্যুবরণ করে? [জা.বি-২০১৫]

উত্তর: ক্ষেন্তি বসন্ত রোগে মৃত্যুবরণ করে।

 

৩। ক্ষেন্তির কীসের লোভ সম্পর্কে অন্নপূর্ণা জানতেন?

উত্তর: ক্ষেন্তির পুঁইশাকের লোভ সম্পর্কে অন্নপূর্ণা জানতেন।

 

৪। পুঁইমাচা গল্পের রচয়িতা কে?

উত্তর: পুঁইমাচা গল্পের রচয়িতা বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়।

 

৫। ক্ষেন্তি বিস্মিত ও আনন্দপূর্ণ ডাগর চোখে কীভাবে মায়ের দিকে তাকালো?

উত্তর: ক্ষেন্তি বিস্মিত ও আনন্দপূর্ণ ডাগর চোখে ভয়ে ভয়ে মায়ের দিকে তাকালো।

 

৬। বিষয়বস্তু অনুসারে পুঁইমাচা কোন শ্রেণির গল্প?

উত্তর: বিষয়বস্তু অনুসারে পুঁইমাচা সামাজিক শ্রেণির গল্প।

 

৭। দুপুরবেলা ক্ষেন্তি তার পাতে কী দেখে বিস্মিত ও আনন্দিত হলো?

উত্তর? দুপুরবেলা ক্ষেন্তি তার পাতে পুঁইশাকের চচ্চড়ি দেখে বিস্মিত ও আনন্দিত হলো।

 

৮। পুঁইমাচা গল্পের পটভূমি কী?

উত্তর: পুঁইমাচা গল্পের পটভূমি হলো সমকালীন সমাজের নির্মম অনুশাসন ও দরিদ্র মানুষের ভোগান্তি।

 

৯। অন্নপূর্ণা কুচো চিংড়ি দিয়ে চুপি চুপি কী রান্না করলেন?

উত্তর: অন্নপূর্ণা কুচো চিংড়ি দিয়ে চুপি চুপি পুঁইশাকের তরকারি রান্না করলেন।

 

১০। পুঁইমাচা গল্পে সহায়হরি কে?

উত্তর: পুঁইমাচা গল্পে সহায়হরি গল্পটির অন্যতম প্রধান চরিত্র এবং গল্পের কেন্দ্রীয় চরিত্র ক্ষেন্তির বাবা।

 

১১। ‘পাথুরে বোকা’ বলতে কী বুঝায়?

উত্তর: পাথুরে বোকা বলতে বুঝায় একেবারে বুদ্ধিহীন বা নিরেট বোকা।

 

১২। পুঁইমাচা গল্পে গাছ কেটেছে কে?

উত্তর: পুঁইমাচা গল্পে গাছ কেটেছে তারক খুড়ো।

 

১৩। পুঁইমাচা গল্পে অন্নপূর্ণার দৃষ্টিতে পাথুরে বোকা কারা?

উত্তর: পুঁইমাচা গল্পে অন্নপূর্ণার দৃষ্টিতে পাথুরে বোকা হলো অন্নপূর্ণার স্বামী ও তার মেয়েরা।

 

১৪। অন্নপূর্ণা কোথায় বসে চুলে তেল মাখছিলেন?

উত্তর: অন্নপূর্ণা খড়ের রান্নাঘরের দাওয়ায় বসে চুলে তেল মাখছিলেন।

 

১৫। ক্ষেন্তিকে পুঁইশাক দিয়েছে কে?

উত্তর: ক্ষেন্তিকে পুঁইশাক দিয়েছে রায় কাকা।

 

১৬। ‘তুমি তেল মেখে বুঝি ছোবে না?’ – উক্তিটি কার?

উত্তর: ‘তুমি তেল মেখে বুঝি ছোবে না?’ – উক্তিটি সহায়হরি চাটুয্যের।

 

১৭। ক্ষেন্তি কার কাছ থেকে চিংড়ি মাছ এনেছিলো?

উত্তর: ক্ষেন্তি গয়া বুড়ির কাছ থেকে চিংড়ি মাছ এনেছিলো।

 

১৮। পুঁইমাচা গল্পে ক্ষেন্তি কে?

উত্তর: পুঁইমাচা গল্পে ক্ষেন্তি সহায়হরি চাটুয্যে ও অন্নপূর্ণার বড় মেয়ে।

 

১৯। গ্রামবাসীর দৃষ্টিতে ক্ষেন্তি কী ধরনের মেয়ে?

উত্তর: গ্রামবাসীর দৃষ্টিতে ক্ষেন্তি উচ্ছুগগু করা মেয়ে।

 

২০। ‘উচ্ছুগগু করা মেয়ে’ বলতে কী বুঝায়?

উত্তর: উচ্ছুগগু করা মেয়ে বলতে বোঝায় যে মেয়ের আশীর্বাদ হয়েছে কিন্তু বিয়ে হয়নি। অন্যভাবে বলা যায় যে মেয়েকে উৎসর্গ করা হয়েছে তাকে উচ্ছুগগু করা মেয়ে বলে।

 

২১। পুঁইমাচা গল্পে ‘দিদি বড় ভালোবাসতো’ – উক্তিটি কে করেছে?

উত্তর: পুঁইমাচা গল্পে দিদি বড় ভালোবাসতো উক্তিটি করেছে পুঁটি।

 

২২। পুঁইমাচা গল্পে মুখুয্যে বাড়ির ছোট খুকির নাম কী?

উত্তর: পুঁইমাচা গল্পে মুখুয্যে বাড়ির ছোট খুকির নাম দুর্গা।

 

২৩। ‘দোলাই’ কী?

উত্তর: দোলাই হলো শীতবস্ত্রবিশেষ।

 

২৪। পুঁইমাচা গল্পে ভোজনপটু মেয়েটি কে?

উত্তর: পুঁইমাচা গল্পে ভোজনপটু মেয়েটি হলো ক্ষেন্তি।

 

২৫। ‘যেমনি মেয়ে তেমনি বাপ’ – উক্তিটি কার?

উত্তর: যেমনি মেয়ে তেমনি বাপ – উক্তিটি ক্ষেন্তির শাশুড়ির।

 

২৬। ক্ষেন্তির বিয়ের সময় পণের টাকা কত বাকি ছিলো?

উত্তর: ক্ষেন্তির বিয়ের সময় পণের আড়াইশ টাকা বাকি ছিলো।

 

২৭। ক্ষেন্তির অকাল মৃত্যুর জন্য পকৃত দায়ী কে?

উত্তর: ক্ষেন্তির অকাল মৃত্যুর জন্য প্রকৃত দায়ী সমকালীন সমাজের নির্মম অনুশাসন ও নিষ্ঠুর পণপ্রথা।

 

২৮। পুঁইমাচা গল্পে তিনজনের দৃষ্টি আপনা-আপনি কোথায় আবদ্ধ হয়ে পড়লো?

উত্তর: পুঁইমাচা গল্পে তিনজনের দৃষ্টি আপনা-আপনি উঠানের এক কোণে পুঁই মাচায় আবদ্ধ হয়ে পড়লো।

 

২৯। উঠানের কোণে পুঁই মাচাটি কার স্মৃতি ধরে রেখেছে?

উত্তর: উঠানের কোণে পুঁই মাচাটি ক্ষেন্তির স্মৃতি ধরে রেখেছে।

 

৩০। মাচার বাইরে দুলতে থাকা কচি কচি সবুজ পুঁই ডগাগুলো কীসের প্রতীক?

উত্তর: মাচার বাইরে দুলতে থাকা কচি কচি পুঁই ডগাগুলো প্রবর্ধমান জীবনের প্রতীক।

 

৩১। সহায়হরি চাটুয্যে উঠানে পা দিয়েই স্ত্রীকে কী দিতে বললেন?

উত্তর: সহাযহরি চাটুয্যে উঠানে পা দিয়েই স্ত্রীকে একটা বড় বাটি কী ঘটি দিতে দিতে বললেন।

 

৩২। অন্নপূর্ণা নারিকেল তেলের বোতল থেকে কী দিয়ে তেল সংগ্রহ করছিলেন?

উত্তর: অন্নপূর্ণা নারিকেল তেলের বোতল থেকে ঝাটার কাঠি দিয়ে তেল সংগ্রহ করছিলেন।

 

৩৩। স্ত্রীর অতিরিক্ত রকমের শান্ত সুরে সহায়হরির মনে কীসের সঞ্চার হলো?

উত্তর: স্ত্রীর অতিরিক্ত রকমের শান্ত সুরে সহায়হরির মনে ভীতির সঞ্চার হলো।

 

৩৪। সহায়হরিকে একঘরে করার কথা কোথায় হয়েছে?

উত্তর: সহায়হরিকে একঘরে করার কথা হয়েছে চৌধুরীদের চণ্ডীমণ্ডপে।

 

৩৫। ক্ষেন্তির বয়স কত?

উত্তর: ক্ষেন্তির বয়স চৌদ্দ-পনেরো।

 

৩৬। সহায়হরি দাওয়া থেকে কী উঠিয়ে নিলেন?

উত্তর: সহায়হরি দাওয়া থেকে কাঁসার বাটি উঠিয়ে নিলেন।

 

৩৭। ক্ষেন্তির চোখ দুটি কেমন?

উত্তর: ক্ষেন্তির চোখ দুটি ডাগর ও শান্ত।

 

৩৮। ক্ষেন্তির কাঁচের চুড়িগুলো কী দিয়ে আটকানো ছিলো?

উত্তর: ক্ষেন্তির কাঁচের চুড়িগুলো সেপটিপিন দিয়ে আটকানো ছিলো।

 

৩৯। সেদিন বিকেলে সহায়হরির কোথায় ডাক পড়লো?

উত্তর: সেদিন বিকেলে সহায়হরির ডাক পড়লো কালীময়ের চণ্ডীমণ্ডপে।

 

৪০। পুঁইমাচা গল্পে মজুমদার মহাশয়ের কাছে অনেক টাকা ধারেন কে?

উত্তর: পুঁইমাচা গল্পে মজুমদার মহাশয়ের কাছে অনেক টাকা ধারেন কালীময়।

 

৪১। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় জন্মগ্রহণ করেন কবে?

উত্তর: বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় জন্মগ্রহণ করেন ১৮৯৪ সালের ১২ সেপ্টেম্বর।

 

৪২। বিভূতিভূষণের পৈতৃক নিবাস কোথায়?

উত্তর: বিভূতিভূষণের পৈতৃক নিবাস উত্তর ২৪ পরগণা জেলার বনগাঁর নিকট বারাকপুর গ্রামে।

 

৪৩। বিভূতিভূষণের পিতার নাম কী?

উত্তর: বিভূতিভূষণের পিতার নাম মহানন্দ বন্দ্যোপাধ্যায়।

 

৪৪। বিভূতিভূষণের মায়ের নাম কী?

উত্তর: বিভূতিভূষণের মায়ের নাম মৃণালিনী দেবী।

 

৪৫। বিভূতিভূষণের প্রথম স্ত্রীর নাম কী?

উত্তর: বিভূতিভূষণের প্রথম স্ত্রীর নমা গৌরী দেবী।

 

৪৬। বিভূতিভূষণের ২য় স্ত্রীর নাম কী?

উত্তর: বিভূতিভূষণের ২য় স্ত্রীর নাম রমা দেবী।

 

৪৭। বিভূতিভূষণের সাহিত্যিক জীবনের সূত্রপাত ঘটে কোন গল্প প্রকাশের মাধ্যমে?

উত্তর: বিভূতিভূষণের সাহিত্যিক জীবনের সূত্রপাত ঘটে উপেক্ষিতা গল্প প্রকাশের মাধ্যমে।

 

৪৮। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় পথের পাঁচালী উপন্যাস লেখা শুরু করেন কত সালে?

উত্তর: বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায় পথের পাঁচালী উপন্যাস লেখা শুরু করেন ১৯২৫ সালে।

 

৪৯। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কয়েকটি উপন্যাসের নাম লেখো।

উত্তর: বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কয়েকটি উপন্যাসের নাম হলো: পথের পাঁচালি (১৯২৯), অপরাজিতা (১৯৩২), দৃষ্টিপ্রদীপ (১৯৩৫), আরণ্যক (১৯৩৯), আদর্শ হিন্দু হোটেল (১৯৪০) ইত্যাদি।

 

৫০। বিভূতিভূষণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের কয়েকটি গল্পগ্রন্থের নাম লেখো।

উত্তর: বিভূতিভূষণ বন্দোপাধ্যায়ের কয়েকটি গল্পগ্রন্থের নাম হলো: মেঘমল্লার (১৯৩১), মৌরীফুল (১৯৩২), যাত্রাবদল (১৯৩৪), জন্ম ও মৃত্যু (১৯৩৭), কিন্নর দল (১৯৩৮) ইত্যাদি।

 

প্রিয় শিক্ষার্থীবৃন্দ, এই ছিল পুঁইমাচা গল্পের মূল বক্তব্য এবং অতি সংক্ষিপ্ত প্রশ্নোত্তর। আশাকরি পোস্টটি তোমাদের উপকারে আসবে। পরবর্তীতে রিভাইজ করার জন্য পোস্টটি নিচের শেয়ার অপশন থেকে তোমার সোশাল মিডিয়া টাইমলাইনে শেয়ার করে রাখো। সবার সুস্বাস্থ্য কামনা করে আজ এখানেই শেষ করছি।

Post a Comment (0)
Previous Post Next Post